তেঁতুলিয়ায় করতোয়ার বাধ ভেঙ্গে পাথর উত্তোলন, হুমকির মুখে ঈদগাহ!

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়।।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় করতোয়া নদীর বাঁধ ঘেষে পাথর উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে নদী রোক্ষা বাঁধ ও ঐতিয্যবাহী এক ঈদগাহ ময়দায়। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা ওই বাঁধ সংলঘ্ন স্থান থেকে দ্রুত পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সহ উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করেছে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গনাগছ গ্রাম সংলগ্ন করতোয়া নদীর গ্রাম রক্ষা বাঁধ ঘেষে পাথর উত্তলন করায় যে কোনো মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে বিলীন
হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধ ঘেষে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের ঐতিয্যবাহী ঈদগাহ রয়েছে। সেই ঈদগাহে প্রতিবছর স্থানীয়রা ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে। তবে স্থানিয় কিছু পাথর শ্রমিক ইচ্ছে করে বাঁধ ঘেষে পাথর উত্তোলন করায় আসছে বর্ষায় ঈদগাও ভেঙ্গে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে। স্থানীয়দের দাবী শত বাধার পরেও ওই শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া করতোয়া নদীর অসংখ্য স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে পাথর/বালি উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোসির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের একমাত্র ঈদগাহ আসছে বর্ষায় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর কারনে বিলীন হওয়ার পথে। আমি ঈদগাহ ও বাঁধ রক্ষায় ওই স্থানে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য তাদের বাধা দিলে কোন কথা শুনছে না তারা। তাই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

এর আগে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের বাস্থবায়নে ঈদগাহ মাঠ উন্নায়ন, আরএডিপি প্রকল্পে দুই লক্ষ টাকার অর্থায়নে ওই ঈদগাহ মাঠের প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।

তবে স্থানীয় জফিরদ্দিনের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক নদীর ওই স্থান নিজের পারিবারিক পয়ত্রিক সম্পতি দাবী করে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। অভিযোগ আছে ওই স্থানে পাথর উত্তোলন করলে প্রতি একশত সেফটি/ এক ট্রাক্টর পাথরের জন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে কমিশন আদায় করছে সে। আরো জানা গেছে, বাঁধ ঘেষে পাথর উত্তলন করছে রাজ্জাক, আলম, হক্কুল, মাসুদ সহ প্রায় অর্ধশত পাথর শ্রমিক।

এ বিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দীন জানান, বিষয়টি দেখার জন্য আমাকে ইউএনও সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন। এর পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই প্রকৃত অর্থে বাঁধ ঘেষে পাথর উত্তোলন করছিলো শ্রমিকরা। পাশে ঈদগাহ রয়েছে। তাই বাঁধ ও ঈদগাহ রক্ষায় সেই স্থানে পাথর উত্তোলন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।

আরো দেখুনঃ