নীলফামারীতে কতিপয় ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মিবড় ভিটা হাট-বাজার

সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী।।

দীর্ঘদিনের জমানো নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বড়ভিটা হাট-বাজার টিতে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র অনুমতিবিহীন প্রায় শতাধিক দোকান ঘর স্থাপনা গড়ে উঠেছে এ কারণে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারাচ্ছে ।, অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী আবার এই হাট-বাজার টিতে মাল ক্রয় বিক্রয় না করে একটু দূরে অন্য জায়গাতেই ক্রয়-বিক্রয় করছে । ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই অভিযোগ জায়গা সংকট অবৈধ স্থাপনার কারণে মালামাল নিয়ে কোন রিক্সা ভ্যান বা সাইকেল ঢুকতে না পাড়া, অপরিচ্ছন্ন নোংরা পরিবেশ,হাট-বাজারের একমাত্র টয়লেট নোংরা অপরিচ্ছন্ন দুর্গন্ধযুক্ত ।

বড়ভিটা হাট-বাজারের দোকান ঘর গুলো কয়েক ব্যক্তির হাতে জিম্মি হয়ে রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানঘর বরাদ্দ না পেয়ে ব্যবসা করতে পারছে না । অপরদিকে একের পর এক খোলা সেটগুলোর মুখে অবৈধ দোকানঘর নির্মাণ করে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে খোলা সেটগুলোর ব্যবসা । এভাবেই সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা নষ্ট করে, অবৈধ উপায়ে জায়গা দখল করে হাট-বাজার টিকেট জিম্মি করে ফেলেছে কতিপয় ব্যবসায়ী ।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে জানান , জাহাঙ্গীর আলম তিনি একাই ছয় টি রুম দখল করে আছেন , একটা সেটের পাঁচটি রুম একাই দখল করে রেখেছেন ইমান আলী নামের এক ব্যবসায়ী আবার একটা সেট এ দুজন মিলে পাকাপাকি রুম তৈরি করে রেখেছেন রফিকুল ইসলাম ও আবদুর রহিম নামের দুই ব্যবসায়ী ।আবার খোলা মাছের সেট ও দখলে নেয়ার পায়তারা করেছেন মহিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম নামের দুই ব্যবসায়ী এরই মধ্যে তারা মাছ বাজারের সেট এর সামনে অনুমতি বিহীন দুটি দোকান ঘর তৈরি করে সেট টির মুখ বন্ধ করে সেট টি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে ।

মৌসুমী মাছ ব্যবসায়ী নরেন্দ্র কিশোর বলেন মাছের বাজার টা দূর থেকে দেখাই যায়না মাছুয়া মাছ দোকান ধরি বসেছে কিনা কাস্টমার আইসে না । এই ভাবেই তো কাস্টমারক নষ্ট করেছে ওমরা ।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী তহিদুল ইসলাম বলেন , দিনে ছয় থেকে সাত ঘন্টা ব্যবসা করি প্রস্রাব-পায়খানা তো করা লাগে দোকান ছারি দোলা বাড়ি যাওয়া লাগে ।

মনসুর আলী বলেন, টয়লেটের উপরোধ চিটাগুড় এর দোকান পায়খানার মাছি গুত পড়েছে গুড়ের মাছি যায় ছে পায়খানাত । এই হাট বাজারটির সাবেক ইজারাদার মামুন বাবু বলেন , আমরা যখন ইজারা নিয়ে ছিলাম এই বিষয়গুলো প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছিলাম , কোন অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি প্রশাসন ফলে আমি হাটে ইজারা নিয়ে অনেক লস করেছিলাম ।

এ বিষয়ে হাট ইজারাদার আ ন ম মনজুরুল হক জানান, হাট-বাজার টি পরিচ্ছন্ন করতে গেলে প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন, অনুমতি না দিলে আমার কিছু করার নাই টয়লেট ডিজে পরিষ্কার করে দিব সে বুদ্ধি তো নাই সেপটিক ট্যাংকের উপর স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ , টয়লেটের দুয়ারে ঘুড়ির দোকান দুই পাশে এছাড়া টয়লেট ঘিরে আরও মেলা অবৈধ দোকান রয়েছে কিভাবে আমার পক্ষে পরিষ্কার করা সম্ভব ।

এ বিষয়ে বড়ভিটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান , এই বিষয়গুলো আমি কয়েকবার রিপোর্ট আকারে ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানিয়েছি । তবে সম্প্রতি এক চেয়ারম্যান এর কারণে উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্ন অভিযান সফল হয়নি ।

আরো দেখুনঃ