সোনারগাঁয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ):

আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। যেহেতু কুরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো দাঁ, বটি, চাপাতি ও ছুরি। তাই কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে যেমন টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের কামার পাড়াগুলো। সেই সাথে ঈদকে সামনে রেখে পিছিয়ে নেই বাড়িতে গিয়ে দা বটি ধার করানো কামাররা তারাও এলাকায় এলাকায় গিয়ে বলছেন এ… দাঁ, বটি ছুড়ি, চাপাতি ধার করাই … তাদের এই ডাকে এলাকা জুড়ে যেনো বয়ে এনেছে ঈদের বাড়তি আমেজ।

সরেজমিন সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও ধার করতে লোকজন ভিড় করছেন তাদের দোকানে। আগে যে সব দোকানে দুই থেকে তিন জন করে শ্রমিক কাজ করতো, এখন সে সব দোকানে ৫-৬ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন। এছাড়া ভিবিন্ন এলাকা ঘুরেও এখন কামারদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।

জানাযায়, প্রতি ছুরি ধার করাতে লাগে ৩০ টাকা বটি ৮০ টাকা, চাপাতি ১০০ টাকা বড় ছুড়ি বা কুড়াল সাইজ অনুযায়ী ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

কাচঁপুর কলাপট্টি এলাকার কামার জুলহাস মিয়া বলেন, সারা বছর আমাগো কাম-কাজ কম থাকে। কুরবানির ঈদ আইলে আমাগো কাম বাড়াই যায়। আগের থিকা এখন বেচা কিনা বাড়ছে ঈদ যেতো কাছে আইতাছে আমাগো দোকানে কাস্টমার ততো বাড়তাছে। তিনি আরো বলেন এইতো পরশু দিন থিকা আমার দোকানে আরপ দুই জন নতুন লোক আইবই এর পর অফিস আদালত বন্ধ দিলেই প্রচুর কাম আসা শুরু করবো তখন আমাগো রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাম করতে হইবো। তহন আমাগো খাওয়োন দাওয়োনের সময়ও পাইনা।

মোগরাপাড়া এলাকার কামাড় শুসান্ত কর্মকার তিনি বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে দাঁ, বটি ধার করান। তিনি বলেন, কুরবানির ঈদ আসলে আমাদের মতো শ্রমিকের মূল্য কিছুটা বাড়ে । এখন একটি ডাক দিলেই কেউ না কেউ আমাকে ডাক দিবেই। আর এই ঈদটা চলে গেলে সারাদিন ঘুড়ে দুই-তিনটা কাজ পাই। তাই কুরবানীর ঈদ আসলে আমার অনেক আনন্দ লাগে।

আরো দেখুনঃ