ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজারে ব্যাপক প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক।।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে। এজন্য কক্সবাজারসহ দেশের সকল সমুদ্রবন্দর সমুহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকল উপজেলার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সকল সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরনার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শরনার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। আজ সকালে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তুতি সভা করেছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস প্রধান মো: আবদুর রহমান জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে গোসল করতে বলা হয়েছে। এ ব্োপারে সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ডের কর্মীদের তৎপর দেখা গেছে।

ফরহাদ/অননিউজ

আরো দেখুনঃ