মানুষ পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো জ্বালাও-পোড়াও আর মানুষ হত্যা করছে বিএনপি-জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনগণের অকল্যাণ করে, পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতাও চেয়েছেন সরকার প্রধান।

আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের ভূষিতকরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন সরকার প্রধান।

এ সময়ে বীর সন্তান ও তাদের স্বজনদের হাতে পদক তুলে দেন তিনি।

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার। মানুষ পুড়িয়ে এভাবে কিছু অর্জন করা যায় না। কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হয়, জনগণের কল্যাণ করতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে, পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না। তাদের চেতনা ফিরে আসুক।

দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রযাত্রা শুরু হবে। তার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নানা ধরনের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সেসব অতিক্রম করছি। আরও সচেতন হতে হবে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’

মুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সম্মান নিশ্চিতের অঙ্গীকার করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বীরের জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।

এরআগে সকালে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় তিন বাহিনীর চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

পরে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।

আরএইচ/অননিউজ

আরো দেখুনঃ